story online/short story in Bangla
আপনি যদি গুগলে "World's ugliest women" লিখে সার্চ দেন তাহলে যে"নামটি" প্রথম পেজে ভেসে আসে, সেটি হলো "Lizzie Velasquez"(জন্ম: ১৩ মার্চ, ১৯৮৯)
সে কি ভয়ানক কঙ্কালসার দেহ,তার উপর তার একটি চোখও অন্ধ। তিনি মারফানয়েড – প্রজেড্রয়েড – লিপোডিস্ট্রোফি সিনড্রোম নামে একটি অত্যন্ত বিরল জন্মগত রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন যা অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে থেকে তাকে শরীরের মেদ জমতে এবং ওজন বাড়ানো থেকে বাধা দেয়। বেঁচে থাকার জন্যে তাকে প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর অন্তর পানি খেতে হয়।তাকে রঙিন এই সভ্যতা "আগলি গার্ল" উপাধি দিয়েছে ।
তার অবস্থার ফলে তার শৈশবকালে হুমকির ঘটনা ঘটে। তার কিশোর বয়সে, তিনি সাইবার বুলিংয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন
তিনি যখন তার প্রথম ছবিটি আপলোড করেছিলেন, তখন অনেকেই বলেছিলো- "তুমি আত্মহত্যা করো না কেন"?!!
তখনই তিনি সমাজের সকল উপেক্ষাকে পিছনে ফেলে তার জীবনের ৪টি লক্ষ্য স্থির করলেন- ১.একজন সুবক্তা হওয়া,২.নিজের লেখা বই প্রকাশ করা ৩.স্নাতক করা এবং ৪.নিজের ক্যারিয়ার ও পরিবারকে গড়ে তোলা।
যা শেষ পর্যন্ত তাকে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য গ্রহণে অনুপ্রাণিত করেছিল।
এই ২৭ বছর বয়সী "আগলি গার্ল" আজ একজন আমেরিকান সফল স্পিকার, কর্মী, লেখক এবং ইউটিউবার। যিনি গত সাত বছরে ২০০ টির বেশি ওয়ার্কশপে তার বক্তৃতা রাখেন। প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা ২টি বই "Be Beautiful, Be You"এবং "Lizzie Beautiful" .
আমরা প্রায় সবাই এই শারিরীক সৌন্দর্য নিয়ে একটা হীনমন্যতায় ভুগি-- আমার গায়ের রং কালো, আমার স্বাস্থ্য মোটা,আমার চেহারা সুন্দর না,আমি দেখতে কুৎসিত,আমার উচ্চতা কম,আমার নাক বাজে,হাত পা দাঁত সুন্দর না,
আমার চুল সুন্দর না।ইত্যাদি... ইত্যাদি...।।
এখন একটা প্রশ্ন করি!
France'র স্যাভ্রোতে "International Bureau of Weights and Measures" -এ প্লাটিনাম-ইরিডিয়াম সংকর ধাতুর তৈরি একটি সিলিন্ডার রাখা আছে,যার ভরকে "এক কি:গ্রাম" বা আদর্শ ভর ধরা হয়। এই ভরের সাথে তুলনা করেই পৃথিবীর সমস্ত বস্তুর ভর পরিমাপ করা হয়।
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, সৌন্দর্য পরিমাপ করার জন্যও কি কোন আদর্শ নারী বা পুরুষকে কোন মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করা আছে? তাহলে কার সাথে তুলনা করে মানুষের সৌন্দর্যের পরিমাপ করা হয়?
এইযে এই সুন্দর অসুন্দরের ব্যাপারটা শুধুই আমাদের সমাজের সৃষ্টি। আমাদের সমাজে অতিরিক্ত মোটা মেয়েদের কুৎসিত মনে করা হয়। অথচ পশ্চিম আফ্রিকার "মৌরিতানিয়ায় "যে মেয়ে যত বেশি মোটা, তাকে তত বেশি সুন্দরী বলা হয় । সেদেশে মেয়েদের মোটা বানানোর জন্য শিশু বয়স থেকেই প্রতিদিন ১৬০০০ ক্যালরি খাবার জোরপূর্বক খাওয়ানোর জন্য মেয়েদের উপর নির্যাতন করেন তাদের বাবা মারা । উদ্দেশ্য একটাই-যত বেশি মোটা হবে,তত বেশিই সুন্দরী হবে আর তত ভালো বিয়ের জন্য পাত্র পাওয়া যাবে।
আসলে সত্যি কথা বলতে কি - এই পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষই একে অপরের থেকে আলাদা । প্রত্যেকেই নিজস্ব এবং ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্য নিয়েই পৃথিবীতে আসে। তাই একজনের সৌন্দর্য কখনই আরেকজনের সৌন্দর্যের সঙ্গে মিলবে না এটাই সত্যি ।
এজন্য আপনার চারিপার্শ্বের মানুষকে বিচারক ভাবা একদম বাদ দিন। নিজেকে কখনই অন্যের চোখ দিয়ে দেখবেন না,
আর এই পৃথিবীতে কেউই সবদিক থেকে পারফেক্ট হয়না। আপনি যাকে দেখে নিজেকে ছোট ভাবছেন,হয়তো সেও আপনার কোন একটা দিক দেখে নিজেকে ছোট ভাবছে। নদীর ওপারের ঘাস সবসময়ই একটু বেশিই সবুজ মনে হয়।একটা কথা মনে রাখবেন- "Nobody is perfect. If you are perfect,you are nobody."
আপনি যতই সুন্দর হোন না কেন,অস্বচ্ছ আয়না দিয়ে যদি দেখেন আপনাকে কুৎসিত দেখাবে। আসলে আমরা কেউই কুৎসিত না,কুৎসিত হলো আমাদের নিজেকে দেখার চোখ।
তাই নিজেকে সুন্দর দৃষ্টি দিয়ে দেখুন,আপনার নিজের মধ্যেকার শক্তিশালী বিষয়গুলোকে খুঁজুন। দেখবেন, আপনি আসলেই অনেক সুন্দর,আপনার পৃথিবীটাও অনেক সুন্দর।মনে রাখবেন বাহ্যিক সৌন্দর্যই আপনার জীবনের সবকিছু নয়।
"***Just be BEAUTIFUL,
be YOU***"
"কুৎসিত মানুষের রুপ হয় না,কুৎসিত হয় মন"
সবসময় নিজেকে ভালোবাসুন।নিজের অস্তিত্বকে মূল্যায়ন করুন।এটাই ভাববেন আপনি আপনিই,আপনার মতো দ্বিতীয় কেউ এই পৃথিবীতে নেই।রুপ-সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে নিজের অস্তিত্বকে কখনও বিসর্জন দিবেন না।সবসময় ভালো থাকুন,নিজের মনকে ভালো রাখুন।দেখবেন কখনো কোনো হতাশার কালো মেঘ এসে আপনার জীবনকে অন্ধকার করতে পারবে না।
আরও পড়ুন:
Inspirational story-কুদর্শন মায়ের গল্প-Short story
7 Comments
nice
ReplyDelete💕💕💕
ReplyDeleteSoo good!
ReplyDeleteit's good
ReplyDeletei really like the story
ReplyDelete💜💜💜💜💜i purple you
ReplyDeletei mean i purple it💜💜
ReplyDeletePlease don't enter any spam links in the comment box.