Know 8 things about Google Office bangla

google head office


Know about 8 things about Google Office Bangla||গুগল অফিস সম্পর্কে টি  তথ্য জানুন||Google head office

গুগল অফিসের ৮টি ব্যাপার সম্পর্কে জেনে নিন


 আমাদের আজকের পোস্টটি অনেক ইন্টারেষ্টিং হতে যাচ্ছে।আমরা জানি যে ইন্টারনেটের অপর নাম হলো গুগল।পৃথিবীর সবথেকে বড় সার্চ ইঞ্জিনগুলোর প্রথম দুইটি গুগলের দখলে।কম বেশি সবারই নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করে কেমন এই টেক জায়েন্টের অফিসটি!কিন্তু সমস্যা হচ্ছে গুগল তাদের ক্যাম্পাসকে বেশ সিক্রেট  করে রেখেছে।খুবই কম তথ্য এবং ছবি তারা প্রকাশ করেছে।


গুগলের  অফিসের নাম হলো গুগলপ্লেক্স । এটি ক্যালোফোর্নিয়াতে অবস্থিত । গুগলপ্লেক্সের ভিতর প্রায় ৩.২মিলিয়ন স্কয়ার ফিটের একটি অফিস স্পেস রয়েছে। গুগল প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার খরচ করে এই অফিস টি তৈরী করেছে। এই অফিসে প্রায় ২৩ হাজার লোক কাজ করে। গুগল তার অফিসের জন্য জায়গা কিনে ছিল সিলিকন গ্রাফিক্স নামক একটি কোম্পানির কাছ থেকে। এই কোম্পানিটি  জুরাসিক পার্ক সিনেমাগুলো বানিয়েছিল।এই কারণে গুগলপ্লেক্সে এখনো একটি ডাইনোসরের কংকাল দেখতে পাওয়া যায়।



1.অফিস ইন্টেরিয়র 

গুগলের ভিতরের প্রতিটি জায়গাতেই গুগলের লোগো লাগানো  রয়েছে।দেয়াল থেকে শুরু করে ভেন্ডিং মেশিন,ভেন্ডিং মেশিন থেকে শুরু করে ডাস্টবিন পর্যন্ত সব জায়গাতেই গুগলের লোগো সেটে দেওয়া হয়েছে। যেন যে কেউ যেকোনো সময় যে কোথাও ছবি তুললেই মার্কেটিং হয়ে যায় গুগলের।আগেই বলেছি গুগল তার জায়গাটি কিনেছিল  সিলিকন গ্রাফিক্স নামক একটি কোম্পানির কাছ থেকে।সেই কোম্পানির একটি বিল্ডিং ছিল এই জমির ওপর আর সেই বিল্ডিংটিকেই  নতুনভাবে সাজিয়ে গুগল তাদের অফিস নির্মাণ করেছেন। তাছাড়া গুগল অনেক নতুন বিল্ডিং নির্মাণ করেছে এবং ২০৩০ সাল পর্যন্ত তাদের আরও বিল্ডিং বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে ।


পুরনো ভবন সাজানোর পেছনে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান আর্কিটেক্ট ক্লাইভ উইলসন।তিনি পুরোনো বিল্ডিংকে নতুনভাবে সাজিয়ে গুগলকে অফিস রূপে উপহার দেন।



গুগল তার কর্মীদের কাজের জন্যই তার অফিসে আনে। কিন্তু গুগল চায়না যে তার কর্মীরা মনে করুক যে তারা কাজ করতে এসেছে।বরং তারা যেন তাদের কাজকে কাজের চেয়ে বেশি বিনোদনই মনে করে সেটাই গুগল চায়।আর সেজন্য  গুগল তাদের অফিসকে ডেকোরেট করেছে বিভিন্ন রকম কালার দিয়ে।দুই থেকে শুরু করে তিন জনের জন্য একটি রুম করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।অদ্ভুত সব আসন  দেয়া হয়েছে।দুপুরে যদি কেউ যদি কিছুটা তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে তবুও কেউ মানা করবে না কাউকে।



2.খেলাধুলা 

গুগলের অফিস ক্যালিফোর্নিয়ায় আর ক্যালিফোর্নিয়ায় ওয়েদার পিকনিক করার জন্য বেশ ভালো।আউটডোর খেলাধুলার জন্য বেশ জনপ্রিয়। আর গুগল তাই তার অফিসের বাইরে ফুটবল মাঠ,ভলিবল কোর্ট  তাছাড়া বাস্কেটবল কোর্ট এর মতো জনপ্রিয় খেলাগুলোর আয়োজন করে রেখেছে।এছাড়াও রয়েছে ফ্রিসবি Frisbee খেলার আয়োজন যেন কর্মীরা তাদের অবসরে বিনোদন নিতে পারেন ।অফিসের ভিতর ভিডিও গেমিং মেশিনও আছে চাইলে আপনি খেলতে পারেন। আর যদি কেউ চায় অফিসের  স্কেট বোর্ডও চালাতে পারে কেউ মানা করবে না।




3.জিম বা ফিটনেস সেন্টার 

বড়ো বড়ো টেক জায়েন্টের অফিসে ফিটনেস সেন্টার থাকাটা খুবই স্বাভাবিক।গুগলের আছে।তবে গুগলের বাড়তি আরেকটা জিনিস আছে  আর সেটি হলো কৃত্রিম সাঁতার কাটার পুকুর।যেখানে পানিতে কৃত্রিমভাবে  কার্রেন্ট সৃষ্টির মাধ্যমে  ঢেউ সৃষ্টি করা হয় যেন কর্মীরা তাদের আসল সাঁতারের  অনুভূতি পায় এবং খানিকটা ক্লান্তি দূর করার সুযোগ পায়।

গুগলপ্লেক্সে নিজস্ব মাস্যাজ সেন্টার রয়েছে  আর ডাক্তার রয়েছে কর্মীদের স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখার জন্য।




4.খাওয়া দাওয়া 

গুগল তাদের কর্মীদের তিনবেলায় সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করেন তাও একদম ফ্রিতে। আর এই খাবারগুলোর জন্য যে সবজি প্রয়োজন হয় সেগুলো গুগলের নিজস্ব বাগানেই ফলানো হয় । মানুষ যে শুধু তিনবেলা-ই খায় ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয় তিনবেলার মাঝেও তাদের ছোট ছোট ক্ষিদে পায় ।আর তাই গুগল কর্মীদের জন্য অফিসের মাঝে অনেক গুলো ছোট ছোট স্ন্যাক ক্যান্টিন রেখেছে ।যেন কর্মীরা  ঐ তিনবেলা খাবারের মাঝে ছোট ছোট ক্ষিদে পেলে ছোট ছোট  সমাধান করে নেয়।



মধু চাষের জন্য গুগলের নিজস্ব হানিপ্লেক্স রয়েছে যেখানে গুগল Beehive'র মাধ্যমে তার কর্মীদের জন্য মধু উৎপাদন করে ।গুগল প্রতি বছর প্রায় ৭২মিলিয়ন ডলার খরচ করে তাদের কর্মীদের খাওয়ানোর জন্য।



5.চলাচল 

গুগলপ্লেক্সের কর্মীরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যায় কালারফুল বাইকে চড়ে যার নাম জি বাইক ।গুগলের অফিসে আশেপাশের এলাকা থেকে যাওয়ার জন্য ওয়াইফাই এনাবল একটি ডিজেল বাস রয়েছে।এছাড়াও গুগলপ্লেক্সে অনেক অটোমেটেড ইলেকট্রিক কার রয়েছে যেগুলো টেসলা বানিয়েছে ।



6.অ্যান্ড্রয়েড গার্ডেন 

গুগলপ্লেক্সে রয়েছে একটি অ্যান্ড্রয়েড গার্ডেন যেখানে  অ্যান্ডরয়েডের  প্রতিটি ভার্শনের জন্য একটি করে অ্যান্ডরয়েড স্ট্যাচু রয়েছে।যেমন কীটকেট অ্যান্ডরয়েড ,আইসক্রিম, স্যান্ডউইচ অ্যান্ডরয়েড কিংবা মার্সম্যালোও অ্যান্ডরয়েড ।



7.কিন্ডারপ্লেক্স

কর্মীদের বাচ্চা দেখাশুনা করার জন্যও রয়েছে কিন্ডারপ্লেক্স।অবশ্য এতে কর্মীদের বাচ্চাদের বয়সভেদে ২৩থেকে ৫৭ হাজার ডলার প্রতি বছর খরচ করতে হয় গুগলের। কিন্ডারপ্লেক্স মূলত একটি স্কুল যেখানে বাচ্চাদের অনেক কিছুই শেখানো হয় ।



8.পাওয়ার সাপ্লাই 

গুগল যদিও apple কিংবা  অন্য কোম্পানির মতো বেশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে না তবুও গুগলের অফিসের  প্রতিটি বিল্ডিং এর ছাদের অধিকাংশটাই সোলার প্যানেল দ্বারা কাভার করা। যা গুগলকে বেশ অনেকটাই নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর অফিস হিসেবে গড়ে তুলেছে।


কি মনে হয় গুগলপ্লেক্স কি গুগলের মতো টেক জায়েন্টের যথার্থ অফিস   আপনার মতামত জানাতে পারেন।

আরো পড়ুন: 


Post a Comment

2 Comments

  1. Nice article about Google office.
    Impressive.

    ReplyDelete
  2. wow amazing information. I liked it. It was very helpful. https://fareedgh.com/smoking-after-tooth-extraction/

    ReplyDelete

Please don't enter any spam links in the comment box.