5-morning habits to be successful- সকালের ৫টি অভ্যাস
Motivation in Bengali/Good morning routine before work
যদি প্রশ্ন করা হয় প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথম কাজ আপনি কি করেন ?৯০% মানুষের উত্তর হবে নিজের ফোন চেক করি । কিন্তু সফল ব্যক্তিরা কেউই তাদের সকালকে আপনার মত করে শুরু করে না অর্থাৎ উনারা কেউই তাদের সকালের শুরুতে ফোন চেক করে না।
এই সকল ব্যক্তিরা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ৫টি বেসিক নিয়ম অনুসরণ করেন। একেকটি নিয়ম ২ মিনিট অর্থাৎ সর্বমোট ১০ মিনিট। এই ১০ মিনিট প্রায় প্রতিটি সফল ব্যক্তিরাই অনুসরণ করে।
আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনি এমন কিছু নলেজেবল তথ্য এবং টিপস জানতে চলেছেন যা আপনার জীবনকে বদলে দিবে।
আমাদের সকলকে বলা হয় যে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠবে। ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি যে সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠা উচিত।
সফল হওয়ার জন্য সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা খুবই জরুরি। সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা সত্যিই একটি ভালো অভ্যাস কিন্তু সমস্যা হলো সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠার ব্যাপারটি বেশিরভাগ লোকের কাছেই সবথেকে কঠিন কাজ হয়ে পড়ে ।
তার মানে কি সকালে যারা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে পারে না তারা সফল হবে না? তারা কি নিজের চিন্তাকে হেলদি বানাতে পারবে না এবং তারা কি চিন্তামুক্ত জীবনকে কে উপভোগ করতে পারবে না?
এই সকল মানুষেরা করবে কি? কিভাবে এই সকল মানুষরা নিজেকে হেলদি চিন্তামুক্ত এবং প্রোডাকটিভ তৈরি করবে?
অবশ্যই করতে পারবে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরের যে ১০ মিনিট সময় সেটা এমনিতেই খুব পাওয়ারফুল একটি সময় ,কারণ এই সময়টিতে আমাদের স্ট্রেস লেভেল একদম লো থাকে।
আমাদের মাইন্ড এই সময়টিতে একদম ফ্রেশ থাকে। আপনি এই সময়টিতে আপনার মাইন্ডকে কে দিয়ে যে কাজ করাতে চান সেটিকেই সে সে করে দিবে।
তাই এই ১০ মিনিট নিয়মকে ফলো করা আপনাকে কঠিন বলে মনে হবে না ।পাঁচটি অভ্যাসই খুবই বেসিক এবং কার্যকরী ।যার ফলাফল আপনি নিজের মধ্যে এক সপ্তাহ পর থেকেই দেখতে পাবেন।
Motivation in Bengali
প্রথমধাপ
নিজের মাইন্ডের কার্যকারিতাকে বাড়ানোর জন্য সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেই সবথেকে প্রথমে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে তা হলো নিজের বডিকে হাইড্রেট করা। অনেকেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চা বা কফি পান করেন কিন্তু সকালে আপনার শরীর এবং আপনার মাইন্ড চা বা কফি খেতে চায়না, চাই এক গ্লাস পানি।
ব্রেন এবং বডির ফাংশনিংয়ের জন্য পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর সকালে পানি পান করা এই কারণেও জরুরি কারণ গত ৮/৯ ঘন্টা পর্যন্ত আমরা একটুও পানি পান করি না।
যার কারণে আমাদের শরীর কিছুটা পরিমাণ ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর সবথেকে প্রথমে এক গ্লাস পানি পান করা আপনার অবশ্যই প্রয়োজন।
এই এক গ্লাস জল আপনাকে মেন্টালি অনেকটা একটিভ করে দেয়, তাই সকালের শুরুটিকে এক গ্লাস পানি দিয়ে শুরু করুন।
দ্বিতীয়ধাপ
এবার আপনাকে করতে হবে ডিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ।যেটাতে খুব বেশি আপনার দুই মিনিট সময় লাগবে। ডিপ ব্রিদিং বা ব্রিদিং কন্ট্রোল।
বেশিরভাগ সময় আমরা আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে খেয়ালই করিনা, এর ব্যাপারে ভাবিও না। নিজে থেকেই প্রক্রিয়াটি চলতে থাকে, আমরা এত গুরুত্ব দেইনা।
তাহলে প্রশ্ন হলো এই ,যে যখন শ্বাসযন্ত্র এই কাজটিকে অটোমেটিক্যালি করছে তো সেটাকে সকালে ঘুম থেকে উঠার পর ভেবেচিন্তে দীর্ঘভাবে কেনো করবো?
রিসার্চে পাওয়া গেছে যে এক মিনিটে সাত থেকে দশ বার শ্বাসকার্য চালালে অর্থাৎ প্রশ্বাস নিয়ে কিছুক্ষণ ফুসফুসে আটকে রেখে তারপর নিঃশ্বাস দ্বারা ছেড়ে দেওয়া ।
এরকম দীর্ঘ সময় শ্বাস প্রশ্বাস কার্যকে চালালে আমাদের স্ট্রেস রেসপন্স সিস্টেম ব্যালেন্স হয়ে যায়। ডিপ্রেশন এবং অ্যাংজাইটি লেবেলও কম হওয়া শুরু করে।
আর শুধু তাই নয় আমাদের ইমিউন সিস্টেম স্ট্রং হয়ে যায় এবং আমাদের মেন্টাল কন্সেন্ট্রেশন পাওয়ারও ইম্প্রোভ হয়ে যায়।
তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ২ মিনিট ডিপ ব্রিদিংয়ের প্র্যাকটিস করলে আপনি নিজেকে অনেকটা এনার্জাইজড এবং রিলাক্সড অনুভব করতে পারবেন,আর যেটি নিশ্চিতভাবে সারাদিনে আপনার প্রচুর মাত্রায় প্রয়োজন পড়ে।
Motivation in Bengali
তৃতীয়ধাপ
নেক্সট স্টেপ স্ট্রেচিং।স্ট্রেচিং আপনাকে বেটার ফিল করতে সাহায্য করে এবং আপনার মাসলকে রিফ্রেশ করে। যার ফলে এগুলি সারাদিন এফিসিয়েন্টলি কাজ করতে পারে।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তিন মিনিটের স্ট্রেচিং আপনাকে সারাদিন রিফ্রেশ ফিল করানোর জন্য যথেষ্ট। "স্ট্রেচিং" এক্সারসাইজেরই একটি খুব সহজ প্রক্রিয়া যা আপনার মধ্যে থেকে গতকালের স্ট্রেস,মাসল টেনশনগুলিকে দূর করতে সাহায্য করে। এর ফলে আপনার শরীরে রক্তের ফ্লো বেড়ে যায় এবং আপনার মাইন্ডও অনেকটা ফ্রেশ হয়ে যায়।
চতুর্থধাপ
এবার আপনাকে বানাতে হবে একটি টু-ডু লিস্ট লিস্ট ।যেখানে আপনি আপনার দৈনন্দিন কাজগুলিকে prioritize করতে পারবেন। অৰ্থাৎ আজ আপনি কি কি কাজ করবেন,কোনটি আগে করবেন কোনটি পরে করবেন সেগুলো আপনাকে লিখতে হবে।
হতে পারে যে এই মহামারী পরিস্থিতির(প্যানডেমিক সিচুয়েশনের) কারণে আপনার কাছে তেমন কোনো ভারী কাজ নেই। তবুও এই লিস্টে আপনি আপনার সারাদিনের সকল ছোট-বড় কাজগুলিকে,ক্রিয়েটিভ কাজগুলিকে prioritize করে লিখে নিন। যাতে আপনি সারাদিনের সম্পূর্ণ সময়টিকে খুব ভালোভাবে ইউটিলাইজ করতে পারেন।
তবে হ্যাঁ একটি কথা মনে রাখবেন যে এই টু-ডু লিস্টকে যেন আপনি একটি কাগজেই লিখেন,মোবাইলে নয়। হ্যান্ড রাইটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এখানে।
কারণ যেহেতু এই কাজগুলো আপনি নিজের হাতে কাগজে লিখেছেন তাই ব্রেইন এই বিষয়টিকে খুব ভালোভাবে ট্রিগার করে নেয় যে, আমাকে সেই টু-ডু লিস্ট হিসেবেই কাজ করতে হবে।
হ্যাঁ এটাও মাথায় রাখবেন আপনি যে কাজের লিস্ট বানিয়েছেন সেই কাজ গুলি যেন সেই দিনটিতে কমপ্লিট হয়ে যায়। নেক্সট দিনের জন্য সে কাজ যেন লিস্টে বাকি থেকে না যায়।কারণ নেক্সট দিনে আপনি আবার একটি নতুন কাজের লিস্ট বানাবেন তাই না?
Motivation in Bengali
পঞ্চমধাপ
এবার চলে আসি শেষের দুই মিনিটে।শেষের দুই মিনিটে আপনার তৈরি করা এই টু-ডু লিস্টটিকে আপনাকে ভিজুয়ালাইজ করতে হবে।
চোখ বন্ধ করে আপনি আপনার কাজ, মিটিংস,অনলাইন ক্লাস,জিম,এক্সারসাইজ, পড়াশোনা এই সকল কাজগুলোকে আপনি কাজ করবেন আপনি ভিজুয়ালাইজ করুন যেগুলোকে আপনি আজ করবেন।
ইমাজিন(Imagine)করুন আজ আপনি কতটা পারফেক্টলি, কতটা এফিশিয়েন্টলি এই কাজগুলোকে করতে চলেছেন।এতে কি হবে?
এতে দুই ধরনের লাভ রয়েছে এক আপনার মাইন্ড নিজেকে সেই কাজগুলো করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে নিবে যার ফলে সেই কাজগুলোকে করাকালীন আপনার মধ্যে কোন ধরনের বিরক্তিভাব তৈরি হবে না এবং দ্বিতীয় যখন আপনি মেন্টালি (Mentally)প্রিপেয়ার হয়ে সেই কাজগুলো করবেন তখন সে কাজে আপনি নিজেকে আরো মাস্টার্স করতে পারবেন।
আপনি আপনার কাছ থেকে ছোট ছোট নতুন জিনিসগুলোকে শিখতে পারবেন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এই দশ মিনিটকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার মাইন্ডকে হেলদি ও চিন্তামুক্ততো রাখতে পারবেনই তার সাথে সাথে নিজের ফোকাস(Focus)পাওয়ারকেও কয়েকগুন বাড়াতে পারবেন ।
আরও পড়ুন : Money-saving tips Bangla
2 Comments
Really very informative
ReplyDeleteBeautiful post....thanks for information
ReplyDeletePlease don't enter any spam links in the comment box.