Bill gates top 10 rules for success(Bangla)



Bill gates top 10 rules for success

বিল গেটসের কোটিপতি হবার দশটি সূত্র !

Motivation in Bengali


বিল গেটসকে চেনেন না এমন মানুষ পৃথিবীতে খুব কমই আছেন। যুক্তরাষ্টের ফোর্বস ম্যাগাজিনে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তালিকায়, বিগত ২২ বছরে একটানা ১৭ টি বছর তার নাম শীর্ষে ছিল। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন টেকজায়ান্ট প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট ।


 তিনি পার্সোনাল কম্পিউটার বিপ্লবেরও একজন পথিকৃৎ । তার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৯০ মিলিয়ন ডলার। 


জেনে নিন জীবনে সাফল্যের  জন্য বিল গেটসের  দশটি পরামর্শ।

১ .তাড়াতাড়ি শুরু করুন।

এমন অনেককেই পাবেন যারা জীবনে কিছু করবো করবো করে কিছুই করেন নি।শেষ পর্যন্ত বুড়ো বয়সে "যৌবনে কত কি করতে পারতাম" এই আশ্বাষ নিয়েই  করতে শেষ জীবনটা কাটিয়ে দেয়।


তাই বিল গেটস সবসময় বলেছেন  তাড়াতাড়ি শুরু করুন। বিল গেটসের বয়স যখন ১৩ তখন থেকেই তিনি কম্পিউটার নিয়ে কাজ শুরু করেন।জীবনে  যত দ্রুত  শুরু করবেন,তত দ্রুত বাড়বে কাজের পরিধি ।


তরুণ বয়সে মানুষ নিজের স্বপ্ন নিয়ে সবচেয়ে বেশি শক্ত অবস্থানে থাকে আবার এই বয়সেই তারা অন্যদের দ্বারা প্রভাবিত হয়। ছাত্র জীবন থেকেই স্বপ্নপূরণের শুরুটা হলে আপনার সফলতার সম্ভবনা যতটুকুই থাকুক,অন্তত হাল ছেড়ে দেওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।


 ২ .দূরদৃষ্টি ও মনের জোর থাকতে হবে।

নিজের লক্ষ্যের ব্যাপারে আপনাকে আত্নবিশ্বাসী হতে হবে।মাইক্রোসফট আজ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠান হলেও শুরুর দিকের গল্পটা কিন্তু এমন ছিল না ।


মাইক্রোসফট শুরু করার সময় বিল গেটস যেসব বন্ধুদের নিয়োগ দিয়েছিলেন ,তাদের মাসিক বেতন কোথা থেকে আসবে ,সেটা নিয়ে বিচলিত থাকতে হতো তাকে ।একটু এদিক  ওদিক হলেই তাদের দেওলিয়া হওয়ার সম্ভবনা ছিল ।


কিন্তু তিনি মাইক্রোসফটের ব্যাপারে খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন কারণ তার খুবই স্বতন্ত্র কিছু দক্ষতা ছিল যা তাকে এতো বড় ঝুঁকি নিতে সাহায্য করেছিল।


যে কোনো ব্যবসায়ের শুরুর দিকেই প্রচন্ড ঝড় সহ্য করতে হয় । তাই বিল গেটসের মতে সফল হতে হলে একজনের নিজের লক্ষ্যের ব্যাপারে দূরদৃষ্টি থাকা আবশ্যক । সেই সাথে তাকে খুবই শক্ত মানসিকতার অধিকারী হতে হবে।


"না" বলা শিখুন ।

আপনি যতই প্রতিভাবান হোন  না কেন, দিনে ২৪ ঘন্টা র বেশি সময় আপনি পাচ্ছেন না ।এই ২৪ ঘন্টা কে কিভাবে ব্যবহার করে,সেটাই সফল এবং অসফল মানুষের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয় ।


হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে এক বক্তব্যে একবার বিল গেটস বলেছিলেন,'জীবনের সেরা উপদেশ আমি পেয়েছি আমার বন্ধু ওয়ারেন বাফেটের কাছ থেকে ।সে বলেছিলো তোমাকে "না"বলতে জানতে হবে।'বিল গেটস মনে করেন,কখনো কখনো  না বলতে পারা  আপনার  লক্ষ্যে অবিচল থাকতে সাহায্য করবে।


কঠোর পরিশ্রম।

যেকোনো বড় সাফল্যের পেছনে থাকে কঠোর পরিশ্রমের গল্প। মাইক্রোসফটের শুরুর দিকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও কঠোর পরিশ্রম করেছেন বিল গেটস ।সে সময়ে বছরে মাত্র দুই সপ্তাহ বিশ্রাম নিতেন তিনি। তিনি সেই দুই সপ্তাহ ব্যয় করতেন বই পড়া এবং ব্যবসায়ের ভবিষৎ নিয়ে চিন্তার কাজে।


সেই দুই সপ্তাহের ভিতরে তিনি কাস্টমারের সাথে যোগাযোগ করে তাদের ফিডব্যাক নিয়ে জানতেন তার প্রতিষ্ঠান সঠিক পথেই এগোচ্ছে কিনা ।তাই বলা যায়, সাফল্য অর্জনে কঠোর পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতেই  হবে।পৃথিবীর সব সফলতার পেছনে আছে কঠোর পরিশ্রমের  গল্প। বিল গেটসও তার ব্যাতিক্রম নয়।



 নিজের কাজ উপভোগ করুন

সফল হতে হলে  আপনার অবশ্যই নিজের কাজকে ভালবাসতে হবে। তবেই নিজের কাজকে উপভোগ করতে পারবেন।বিল গেটসের মতে ,স্মার্ট  মানুষের সঙ্গে কাজ করা,সাফল্য নিয়ে  চিন্তা করা, নতুন সমস্যা নিয়ে কাজ করা খুবই উপভোগ্য একটা ব্যাপার।


আর আপনি নিজের কাজটি যদি উপভোগই করতে না পারেন, তবে আপনি কাজকে  ভালোবাসতে পারবেন না। আর কাজ কে ভালোবাসতে না পারলে সফল হওয়া মোটামুটি অসম্ভব। তাই কাজকে ভালোবাসুন ,নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন।


জীবনটা সহজ নয় এটা মেনে নিন।

মাথায় রাখবেন ফেয়ার ফাইট কথাটা কল্পকাহিনীর বেলায় খাটে,কিন্তু তা বাস্তবে  প্রযোজ্য নয়। দুনিয়ায় সবাই সমান আর ন্যায্য সুযোগ পায় না।তাই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকুন আপনার প্রতিদ্বন্ধিরা  অনেক ক্ষেত্রেই অন্যায্য সুবিধা নিয়ে এগিয়ে থাকতে  চাইবেন।তার উপর আপনি যতোই কঠোর পরিশ্রম করেন না কেন, এমন একটা সময় নিশ্চয় আসবে, যখন সবকিছুই আপনার মনমতো হবে না।

সবকিছু আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। আপনি পড়ে যাবেন, কিন্তু আপনাকে আবার উঠে দাঁড়াতে হবে।


৭ .যোগ্য মানুষ নিয়োগ দিন।

পল অ্যালেনর সঙ্গে পার্টনারশিপে যাওয়া বা স্টিভ বলমারের মতো বন্ধুদের নিয়োগ দেয়াই তার ব্যবসার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে গেটস মনে করেন। তিনি মনে করেন নিয়োগের ক্ষেত্রে এমন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেবেন,যাদের সঙ্গে আপনার কমন ভীশন আছে,যারা কাজের ব্যাপারে কমিটেড। তাদের কিছু কিছু দক্ষতা এবং জ্ঞান যেন আপনার চেয়ে ভাল এবং ভিন্ন হয় যাতে কোনো ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলে তারা ভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন।


বিল গেটস বিশ্বাস করেন,কোন ব্যবসায় সঠিক পার্টনার খুঁজে পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। একটি প্রতিষ্ঠানে কাস্টমারদের পরে  সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো কর্মচারীরা। তাদের পরিশ্রমের বলেই কোম্পানিটি  ধীরে ধীরে সবল হতে  শুরু করবে। তাই নিয়োগের সময় অবশ্যই সৎ এবং পরিশ্রমী লোক নিয়োগ দিতে হবে।


৮ .অন্যের কাছে পরামর্শ চান।

অন্যের কাছে পরামর্শ দেওয়ার ব্যাপারে বিল গেটস এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "যেকোনো পরামর্শের জন্য আমি আমার বাবার সঙ্গে কথা বলি, আমি ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে কথা বলি এমন কি আমার স্ত্রী মেলিন্ডার সঙ্গেও কথা বলে তাদের পরামর্শ নিয়ে থাকি। আমি অনেক সময় কোনো কিছু নিয়ে খুব বেশি উত্তেজিত হয়ে যাই।


আবার অনেক কিছু নিয়ে ভাবতেও ভুলে যাই। তখন আমার বন্ধু এবং উপদেষ্টারা  আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেন। তাই আশেপাশে আপনার নিকটজনের  পরামর্শক হিসেবে রাখুন, যাতে আপনি কিছু ভুল করতে গেলে তারা আপনাকে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতে পারেন।"



৯ .দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করুন।

বিল গেটসের ভাষায় আমি যখন কলেজে ছিলাম তখন আমার বদ অভ্যাস ছিল সব পড়া জমিয়ে রাখা এবং পরীক্ষার আগে শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়া করে সবকিছু করে ফেলা।তখনকার সময়ে তা আমার কাছে এবং সহপাঠীদের  কাছে বেশ মজার ছিল। 


কিন্তু যেই মুহুর্তে আমি ব্যবসায়ে নামলাম দেখলাম কেউই আসলে  ভালো চোখে দেখছে না এবং আমরা ব্যবসায়ে পিছিয়ে পড়ছি। তাই আমি অনেক কষ্টে নিজের দীর্ঘসূত্রিতার অভ্যাসকে পাল্টে ফেললাম।কাজ জমিয়ে রাখার অভ্যাস খুবই বাজে এবং তা আপনাকে কখনোই এগুতে দিবে না। 


১০.নিজের রসবোধ বজায় রাখুন।

সবকিছুর ব্যাপারে সবসময় সিরিয়াস হলে আপনি একসময় জীবন নিয়ে বিষিয়ে উঠবেন।তাই কাজের ফাঁকে ফ্যাক্টর  মাঝে মাঝেই মজার কান্ড করে নিজেকে রিফ্রেশ করে নিন।বিল গেটস সারাজীবন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও সুযোগ পেলেই মজার সব কান্ডকারখানা করতেন,সুযোগ পেলেই বন্ধুদের নিয়ে মেতে থাকতেন আজব সব চ্যালেঞ্জে।আর এভাবেই তিনি নিজেকে রাখতেন ফ্রেশ এবং ফিট ।


আরও পড়ুন: Never lose hope Bangla short story-Inspirational story



Post a Comment

1 Comments

Please don't enter any spam links in the comment box.