How to overcome depression and anxiety in Bangla


depression and anxiety(Bangla)

How to overcome depression and anxiety(Bangla)/

বিষণ্ণতা এবং দুশ্চিন্তা কীভাবে কাটিয়ে উঠবেন


আপনার ডিপ্রেশনের কারন কি?

ব্যবসায়ে অসফলতা !

পরীক্ষায় কাঙ্খিত রেজাল্ট না পাওয়া!

কারো কাছ থেকে আঘাত পাওয়া!

অহেতুক আজেবাজে ব্যাপার নিয়ে মন খারাপ  হওয়া!


হয়তো আপনি চান না এসব নিয়ে ভাবতে,তাও এসব চিন্তা আপনার মাথায় চলতেই থাকে।আচ্ছা বলতে পারেন এমন কোন নেশা আছে যার উপর পৃথিবীর ৯৯.৯%মানুষ আসক্ত?


কি পারলেন নাতো?উত্তর হলো চিন্তা করার প্রতি আসক্তি ।একজন চেইন স্মোকার যেমন একটির পর একটি সিগারেট ধরিয়ে চলে,তেমনি একজন এডিক্টেড থিঙ্কারও (Addicted thinker)একের পর এক চিন্তা করেই চলে।আর সবচেয়ে বড় কথা হলো সে চাইলেও নিজেকে চিন্তা করা থেকে থামাতে পারেনা।


বিশ্বাস যদি না হয় একবার চেষ্টা করেই দেখুন।অন্ততঃ ১০ সেকেন্ডের জন্য কোনরকম কিছু  চিন্তা না এনে,মনে মনে কোনো কথা না বলে থাকার চেষ্টা করুন।কি হলো পারছেন নাতো ?কোনো দুঃখের বিষয় না,আমাদের ৯৯.৯% মানুষই আপনার দলে।

যারা নিজেরা নিজেদের মাইন্ডকে কন্ট্রোল করতে পারেনা,বরং মাইন্ড তাদের কন্ট্রোল করে।আর মাইন্ডের প্রিয় খাবার হলো "ফিলিংস।"এজন্য মাইন্ড আমাদের ব্যবহার করে নিজের খাবারের যোগান দেয়ার জন্য।এককথায় আমরা  আমাদের মাইন্ডের দাসে পরিণত হয়ে গেছি।



ঠিক এমনই অবস্থা ছিল "The power of now" বইয়ের লেখক Eckhart Tolle'র ।যা কিনা  ২৯ বছর বয়সে তার জীবনে চরম পর্যায়ে পৌঁছায়।মাসের পর মাস দুঃশ্চিন্তা তার চোখের ঘুম কেড়ে নিতে শুরু করে।এমন কি জীবনের প্রতি প্রচন্ড বিতৃষ্ণা থেকে তিনি আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন।



এসময় একদিন রাতে তিনি এমন কিছু আবিষ্কার করেন যা কিনা জীবনের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ পাল্টে দেয়।তিনি এক শান্তির জীবন খুঁজে পান।তার আমূল পরিবর্তন দেখে  সবাই যখন তাকে জিজ্ঞেস করলো "এটি কিভাবে সম্ভব"?তখন তিনি তাদের সাথে তার জীবনের পরিবর্তন শেয়ার করেন এবং ১৯৯৭ সালে "The power of now" বইটি প্রকাশ করেন।


যেটি ২০০০ সালে নিউয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলিং বই হিসেবে পরিনিত হয় যখন থেকে আমেরিকান Talk Show এর বিখ্যাত হোস্ট Oprah Winfrey এই বইয়ের প্রেমে পড়েন।তিনি সবাইকে  স্ট্রংলি রেকোমেন্ডেড করেন  বইটি অন্তত একবার পড়ার জন্য।



এরপর বইটি শুধুমাত্র উওর আমেরিকাতেই  ৩৩টি ভাষায় প্রকাশিত হয় এবং প্রায় ৩০ লক্ষ্য কপি বিক্রি হয়।বইটি সেসকল মানুষদের জন্য বেশি উপকারী যারা নিজেদের অতীতে  আটকে রয়েছেন।যারা নিজেদের অজান্তে নিজের  মাথার ভিতর নিজেকে সারাক্ষন আটকে রেখেছেন এবং যারা এই অপেক্ষায় রয়েছেন হয়তো কোনোদিন বাইরে থেকে কোনকিছু এসে তাকে খুশি করে দিবে।


এই বইটি তাদের জন্যও বেশি কার্যকর যারা বেশিভাগ সময়ই সবকিছু নিয়ে অভিযোগ করতে থাকেন এবং যাদের প্রতিটা দিন উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তার মধ্যে কেটে চলেছে।


আজ এমন কিছু স্মার্ট  আইডিয়া শেয়ার করবো যা কিনা তাদের এসকল সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।


Smart Idea :1

স্মার্ট আইডিয়া:১ 

The most important time.

Eckhart Tolle মনে করেন আমরা আমাদের সেই প্রতিটা মুহূর্ত নষ্ট করি যে মুহূর্তগুলোতে আমরা অতীতের ব্যাপারে আফসোস করে কাটাই অথবা ভবিষ্যতের ব্যাপারে দুঃশ্চিন্তা করে কাটাই। কারণ আমরা সবসময় বর্তমানেই বাঁচি।


যা কিছু ঘটে  এবং যা কিছু আমরা অনুভব করি সবকিছুই ঘটে বর্তমানে।যদি আপনি চিন্তা করে দেখেন অতীত আর কিছুই না শুধুমাত্র বর্তমান কিছু  মুহূর্তেরই সমষ্টি যেগুলোর  ইতিমধ্যে পেরিয়ে গেছে এবং ভবিষ্যৎও হলো  বর্তমান মুহূর্তেরই সমষ্টি যেগুলি আসতে চলেছে।


তাই বর্তমান ছাড়া অন্য যে কোনো মুহূর্তে বাঁচার চেষ্টা করাটা সম্পূর্ণ অর্থহীন প্রচেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।যদি দুই সপ্তাহের মধ্যে আপনাকে একটি প্রজেক্ট কমপ্লিট করতে হয় তবে আপনি অতীতের যে মুহূর্তটা আজ না কাল করে করে নষ্ট করে ফেলেছেন তা নিয়ে আফসোস করছেন  বা ভবিষ্যতে কি হতে যাচ্ছে সেটা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করছেন-  তাহলে এদের মধ্যে কোনটিই কিন্তু কাজের না।


শুধুমাত্র সেটাই কাজের হবে যদি আপনি আপনার বর্তমান সময়ে কাজটি শুরু করেন এবং আস্তে আস্তে কাজটি শেষ করার দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন।


Smart Idea:2

স্মার্ট আইডিয়া:২

You are not your mind 

আমাদের মাইন্ড অত্যন্ত পাওয়ারফুল একটি টুল যদি আমরা সেটাকে সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করতে পারি। কিন্তু সমস্যাটা হলো আমরা বেশিরভাগই সচেতনভাবে আমাদের নিজেদের মস্তিষ্ককে ব্যবহার করিনা বরং আমরা আমাদের মস্তিষ্ক দ্বারা ব্যবহৃত হয়।একবার নিজেকে নিজে প্রশ্ন করে দেখুন আমি কে এবং আমার পরিচয় কি?


যদি আপনার উত্তর এসব নিয়ে তৈরি হয় যে আপনি একজন ছাত্র বা আপনি একজন সরকারি কর্মচারী বা আপনি একজন ব্যবসায়ী  অথবা আপনার উত্তর আপনার সামাজিক পরিচয়, শিক্ষা,দক্ষতা, সম্পর্ক,বিশ্বাস ধর্ম এমনকি কোনো পারিবারিক ইতিহাস নিয়ে তৈরি হয় তাহলে আপনি একবার ভেবে দেখুন সত্যি বলতে কি  এদের কোনোটিই কি আপনি? নাকি এগুলো আপনার মস্তিষ্কের দাঁড়া বাইরে থেকে সংগ্রহ করা কিছু তথ্য?


মৃত্যুর পরের কথা না হয় বাদই দিলাম এগুলোর কোনটি  কি আপনার ঘুমের সময় আপনার সাথে নাকি থাকে না? কিন্তু আপনি তো ঘুমের সময়ও প্রেসেন্ট(present) থাকেন।যদি তা না থাকতেন তাহলে কিভাবে জানতেন যে আপনি সে সময় ঘুমিয়ে ছিলেন অথবা আপনি কোনো স্বপ্ন দেখেছিলেন?

 Eckhart Tolle এই সম্পর্কগুলোকে বলেছিলেন Ego, যেগুলো আমরা নই কিন্তু সেগুলি  আমাদের অংশ হিসেবে মেনে নিয়েছি,যেগুলো শুধুমাত্র আমাদের সংগ্রহ করা কিছু তথ্য।

তাহলে আপনি আসলে কে? কি আপনার পরিচয়? সেটা জানার নামই হলো এনলাইটেন্মেন্ট(এনলাইটেনমেন্ট)।



এবার ভাবুন কোন যন্ত্র ছাড়া  যদি আপনি নিজে এটা করতে পারতেন  এবং এক মিনিট নয় যতক্ষণ ইচ্ছা ততক্ষণ করতে পারতেন। তাহলে জীবনটা কেমন হয় হতো? 


The end of suffering ।অর্থাৎ এনলাইটেন্মেন্ট।এক্ষেত্রে অনেকেরই একটি ভুল ধারণা জন্ম নেয় তাহলে কি আমরা আমাদের মেমোরিকে ব্যবহার করব না? না সেটা নয় এই ক্ষেত্রে কন্ট্রোলটা সম্পূর্ণ আপনার হাতে থাকবে ঠিক ওই যন্ত্রের মত।অর্থাৎ  আপনি যখন চাইবেন আপনার মাইন্ডকে চুপ করিয়ে সরিয়ে রাখবেন আবার ঠিক যখন দরকার পড়বে সেটাকে ব্যবহার করে অতীত থেকে শিখবেন এবং ভবিষ্যতের জন্য লক্ষ্য তৈরি করবেন।


কিন্তু ঠিক যতটা দরকার অর্থাৎ তখন আপনি আপনার মস্তিষ্কের দাস নয় বরং আপনার মস্তিষ্ক আপনার দাসত্বের দায়িত্ব পালন করবে।এ সমস্ত কিছু শুনে আমাদের মাথায় একটিই প্রশ্ন আসে সবই ঠিক আছে কিন্তু এগুলো কি আদৌ সম্ভব? সম্ভব কি সম্ভব না ইতিমধ্যে সেটি অজস্র মানুষ এই স্টেটে (state)পৌঁছে প্রমান করে দিয়েছেন। Eckhart Tolle তাদের মধ্যে অন্যতম একজন।


Smart Idea :3

স্মার্ট আইডিয়া:৩

Being present is the way of enlightenment.

যে কোনো রকমের মানসিক কষ্টের মূল হল আমাদের  False Ego-self-centric thought  বা চিন্তা ।সেসব জিনিস যা আমরা নিজেদের অংশ হিসেবে মেনে নিয়েছি কিন্তু আসলে তা আমরা না। যদি আপনি শুধুমাত্র এই মুহূর্তে বেঁচে থাকেন তাহলে কি আপনার জীবনে কোন কষ্ট বা সমস্যার অস্তিত্ব আছে? কষ্ট তখনই তৈরি হয় যখন আমরা অতীত  বা ভবিষ্যতে নিজেদের  মিথ্যা আইডেন্টিফিকেশনকে  ইউজ করে কিছু চিন্তা করি এবং বর্তমান মুহূর্ত থেকে সরে গিয়ে  অতীত বা ভবিষ্যতে   বাঁচার চেষ্টা করি|


কোন যন্ত্রের সাহায্যে আপনার সমস্ত স্মৃতি গুলোকে এক মিনিটের জন্য আপনার ব্রেইন থেকে সরিয়ে নেয়া হলো এবং ওই এক মিনিট আপনি শুধুমাত্র বর্তমান টুকুকে অনুভব করলেন ।চারিদিকে কি কি রয়েছে, কিসের কিসের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছেন, কিসের কিসের গন্ধ আপনার নাকে আসছে,কি কি স্পর্শ,অনুভূতি অনুভব করছেন  অর্থাৎ কোনো রকম কোনো জাজমেন্ট ছাড়া আপনি শুধু এবং শুধুমাত্র যা ঘটছে সেগুলোকে অনুভব করছেন।তাহলে কি এই মুহূর্তে আপনার জীবনে কোন কষ্ট,দুঃখ,যন্ত্রণা সমস্যা কিছু আছে?


এবার ভাবুন কোন যন্ত্র ছাড়া  যদি আপনি নিজে এটা করতে পারতেন  এবং এক মিনিট নয় যতক্ষণ ইচ্ছা ততক্ষণ করতে পারতেন। তাহলে জীবনটা কেমন হয় হতো? 


The end of suffering অর্থাৎ এনলাইটেন্মেন্ট।এক্ষেত্রে অনেকেরই একটি ভুল ধারণা জন্ম নেয় তাহলে কি আমরা আমাদের মেমোরিকে ব্যবহার করব না? না সেটা নয় এই ক্ষেত্রে কন্ট্রোলটা সম্পূর্ণ আপনার হাতে থাকবে ঠিক ওই যন্ত্রের মত।অর্থাৎ  আপনি যখন চাইবেন আপনার মাইন্ডকে চুপ করিয়ে সরিয়ে রাখবেন আবার ঠিক যখন দরকার পড়বে তখন সেটিকে  ব্যবহার করে অতীত থেকে শিখবেন এবং ভবিষ্যতের জন্য আপনার লক্ষ্য তৈরি করবেন।


কিন্তু ঠিক যতটা দরকার অর্থাৎ তখন আপনি আপনার মস্তিষ্কের দাস নয় বরং আপনার মস্তিষ্ক আপনার দাসত্বের দায়িত্ব পালন করবে।এ সমস্ত কিছু শুনে আমাদের মাথায় একটিই প্রশ্ন আসে সবই ঠিক আছে কিন্তু এগুলো কি আদৌ সম্ভব? সম্ভব কি সম্ভব না ইতিমধ্যে সেটি অজস্র মানুষ এই স্টেটে (state)পৌঁছে প্রমান করে দিয়েছেন। Eckhart Tolle তাদের মধ্যে অন্যতম একজন।


 যেকোনো দক্ষতা অর্জন করার জন্য দরকার অনুশীলন। এক্ষেত্রেও  তার কোন ব্যতিক্রম নেই। Eckhart Tolle এরকমই কিছু অনুশীলনের কথা তার বইয়ে উল্লেখ করেছেন।যার মধ্যে প্রথম অনুশীলন হল Watch the thinker।


এখনই একবার  চেষ্টা করুন। আপনি আপনার মাথার মধ্যে ঠিক কী  বলছেন এবং মাথার ঠিক কোন জায়গা দিয়ে বলেছেন তা  মন দিয়ে দেখার চেষ্টা করুন।


দেখলেন ম্যাজিক!যেমাত্র কনসিয়াস হয়ে আপনার থটগুলোকে দেখতে গেলেন ঠিক সেই মুহূর্তে মাথার মধ্যে সমস্ত কথোপকথন বন্ধ।


দ্বিতীয় প্র্যাক্টিস হলো What will be my next thought?

নিজেকে বার বার প্রশ্ন করুন ঠিক এরপর আমি কী ভাববো,ঠিক এরপরের থট(Thought )টি আমার কি হওয়া উচিত?এই strategy টি কোয়ান্টাম ফিজিক্সের একটি এফেক্টের উপর ভিত্তি করে তৈরি যেটির নাম Quantum zeno Effect।যেখানে  বলা হয়েছে "A system can't change while you are watching it" ।বার বার এই প্রশ্ন করাতে আপনি নিজেই নিজের থট প্রসেসকে স্লো করে দিতে থাকেন।যার ফলে আপনার কাছে একটা সুযোগ চলে আসে নিজের auto pilot mood চালককে ধরতে পারার।


তৃতীয় প্র্যাক্টিস হলো Surrender ।যদি বর্তমান পরিস্থিতিকে বদলানো আপনার কাছে  কোনভাবেই সম্ভব না হয় এমনকি আপনি চাইলেও নিজেকে সেই পরিস্থিতি থেকে বের করে নিয়ে আসতে না পারেন তাহলে সেক্ষেত্রে উপায় surrender করা।Surrender  করার অর্থ এই না দুর্বল হয়ে যাওয়া বা ভেঙে পড়া।Surrender করার অর্থ হলো যেটি ঘটছে বা জরটি বদলানো সম্ভব না সেটিকে মেনে নেওয়া এবং ভেতর থেকে সেটাকে বাঁধা দেয়ার যে প্রচেষ্টা চলছিল সেটা বন্ধ করে দেওয়া।


সম্পূর্ণভাবে বর্তমানে উপস্থিত থাকার অনুভূতিটা এরকমই যেটি কথায় প্রকাশ করা সম্ভব না। ঠিক অনেকটা যেমন মাছকে পানির অস্তিত্ব বুঝানো সম্ভব না  যেটি  শুধুমাত্র অনুভূতির দ্বারা অনুভব করা সম্ভব।এই কারণে গৌতম বুদ্ধকে যখন লোকজন এনলাইটেনমেন্টের অনুভূতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন  উনি চুপ হয়ে গেছিলেন । যার অর্থ তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন তুমিও চুপ হয়ে যাও,তাহলে তুমিও সেই অনুভূতিটা অনুভব করতে পারবে যেটাকে কথায় প্রকাশ করা সম্ভব না।


স্পেস এবং নীরবতাও প্রায়  অনেকটা এরকমই ।তাদের আসলে কোনও ফিজিকাল এক্সিসটেন্স(Physical existence)নেই কিন্তু তবুও silence ছাড়া কোনো সাউন্ডের  অস্তিত্ব নেই এবং space ছাড়া কোন ফর্ম'র(Form) ও অস্তিত্ব নেই।যেমন এই বইয়ের  লেখক  Eckhart Tolle  তাই বলেছেন" REALIZE DEEPLY THAT THE PRESENT MOMENT IS ALL YOU HAVE.MAKE  THE NOW THE PRIMARY FOCUS OF YOUR LIFE."




Post a Comment

4 Comments

Please don't enter any spam links in the comment box.