3 secrets of how to become rich in bangla

3 secrets of how to become rich

3 secrets of how to become rich

ধনী হওয়ার ৩ টি রহস্য যা সবাই জানে না 

আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো ধনী হওয়ার তিনটি গোপন নিয়ম।সবার প্রথমে আপনাকে এই কথাটি  মানতেই হবে যে জীবনে টাকা  অনেক গুরুত্বপূর্ণ। টাকার জন্যই মানুষ চাকরি খোঁজে আর এই চাকরির জন্য মানুষ পনের বছর, কুড়ি বছর পড়াশোনা করে। কিন্তু দুঃখের কথা হল আপনি চাকরি পাবার পরেও আপনার জীবনে খুব একটা পরিবর্তন আসে না। আপনি গ্রও করতে পারেন না।তাই আজ আমরা জানবো এমন তিনটি গোপন রহস্য যা আপনাকে একটি ধনী মানুষ তৈরি করতে পারে।

Rule number one :

আপনার যতটা মাসিক খরচ তার থেকে বেশি ইনকাম করুন অথবা যতটা আপনি ইনকাম করছেন তার থেকে কম খরচ করুন।আমি এমন অনেক লোককেই দেখেছি যারা ঠিকঠাক ইনকাম তো করে নেয় কিন্তু এদের খরচ এতো বেশি হয় যে  এই টাকাও এদের জন্য কম পরে যায়। অন্যদিকে কিছু মানুষ আছে যাদের টাকার অভাব আছে আর এরা চাইলেও তাদের খরচকে কম করতে পারে না। এদের কাছে অনেক ফ্রি টাইমও থাকে অন্য কাজ করে টাকা ইনকাম করার। কিন্তু এদের প্রয়োজন থাকা সত্বেও এরা টাকা ইনকাম করতে চায় না।এরা সবসময় টাকার কথা'ই ভাবে কিন্তু কাজ করার কথা আসলে এরা বলে টাকার কোন দরকার নেই।টাকা দিয়ে কি হবে? 


তাহলে বলি টাকার অনেক প্রয়োজন আছে।আপনি প্রতিদিন সকালে উঠে কাজে যান। আপনি কেন একটি চাকরির জন্য ১০ থেকে ২০ বছর পড়াশোনা করছেন?তাই যে টাকা আমি ইনকাম করছেন সে টাকার সম্মান করুন,কারণ এটি আপনার পরিশ্রমের মূল্য।আমি কোথাও একটা পড়েছিলাম যে, দুটি কথা সবসময় মনে রাখবেন।প্রথম কথাটি হলো আপনার টাকা কে কখনোই হারাবেন না আর দ্বিতীয় কথাটা হলো প্রথম কথাটি কে কখনোই ভুলবেন না।প্রতিটি টাকা ইনকাম করার জন্য আপনি অনেক পরিশ্রম করেছেন ।


তাই এটাকে আপনাকে সেভ করতেই হবে।মনে রাখবেন বিন্দু বিন্দু জল জমে কিন্তু সমুদ্র তৈরি হয় আর যখন আপনার কিছু টাকা সেভ হয়ে যাবে ওই টাকাকেই আপনি কোন ভাল জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন।আপনি ইনভেস্ট করতে পারেন বা অন্য কোন কাজে ব্যবহার করতে পারেন যা আপনাকে ভবিষ্যতে ভালো রিটার্ন দেবে।



একটি বই আছে যার নাম হল "রিচ ড্যাড এন্ড পুওর ড্যাড"(Rich dad and poor dad)। এই বইয়ের রাইটার রবার্ট টি কিয়োসাকি বলেন,উনার প্রতিটি ডলার উনার জন্য এক একটি এমপ্লয়ী আর উনি উনার প্রত্যেকটি ডলারকে কোন না কোন কাজে লাগিয়ে রাখেন।আর ওই ডলার কিছু সময় পর অনেক ডলারে পরিণত হয়। এখন প্রশ্ন হলো আপনিও আপনার প্রতিটি টাকাকে কিভাবে কাজে লাগাবেন?আপনি ইনভেস্ট তো করতে চান কিন্তু আপনার কাছে টাকাই নেই আর টাকা এই কারণেই নেই কারণ আপনি টাকা ইনকামই  করেন নি।



এছাড়া আপনি এমন কিছু লোককে টাকা দিয়ে রেখেছিলেন যে,আপনাকে সেই টাকা রিটার্ন দেয়ার নামই  নিচ্ছে না। তাই আপনার পরিশ্রম দ্বারা ইনকাম করা অর্থ খুব ভেবেচিন্তে সেভ করুন ও খরচ করুন। আর এটাই ছিল Rule number one যে,আপনার যতটা মাসিক খরচ তার থেকে বেশি ইনকাম করুন অথবা যতটা আপনি  ইনকাম করেন তার থেকে কম খরচ করুন।



Rule  number two:

ঐ সমস্ত কাজের জন্য কখনোই টাকা ধার নিবেন না বা লোন  নিবেন না যার মূল্য সময়ের সাথে সাথে কমে যাবে। চলুন একটি উদাহরণের মাধ্যমে এটি আপনাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করি।


যেমন-দুজন মানুষ ছিল।দুজনেই ১০ লক্ষ টাকা করে লোন নিয়েছে।প্রথম ব্যক্তিটি ওই টাকা দিয়ে অনেক কিছু শপিং করেছে।যেমন-মোবাইল কিনেছে, ল্যাপটপ কিনেছে,গাড়ি কিনেছে,ব্র্যান্ডের জামাকাপড় কিনেছে আর তিন থেকে চার মাসের মধ্যে সমস্ত টাকা শেষ করে ফেলেছে।আর অপর লোকটি তারও ঐসব কিছুর প্রয়োজন ছিল কিন্তু তিনি এসব কিছু না কিনে বাজারে একটি দোকান কিনেছে আর সেটিকে একজনকে ভাড়া দিয়ে দিয়েছে।



 আর এখন প্রথম লোকটি ইএমআই দেয়ার জন্য তার ইনকামের বড় একটি অংশ চলে যাচ্ছে আর দ্বিতীয় ব্যাক্তিটি দোকান ভাড়া দিয়ে যে ভাড়ার টাকা পায় সেই টাকা থেকেই তার লোনের টাকা চলে আসে। আর ১০ বছর পর যখন দুজনেরই  লোন শোধ হয়ে গেছে তখন প্রথম ব্যক্তির কাছে কিছুই নেই। কিন্তু দ্বিতীয় ব্যক্তির কাছে একটি দোকান আছে,যে দোকানটার  মূল্য এখন ২০ লক্ষ টাকা।সেটি দিয়ে এখন সে যা খুশি করতে পারবে ।


এখানে বিষয়টা ভালোভাবে বুঝুন। প্রথম ব্যাক্তিটি  টাকা দিয়ে সেই সব কিছু কিনেছে বা খরচ করেছে যার মূল্য সময়ের সাথে সাথে কমে গেছে বা শূন্য  হয়ে গেছে। কিন্তু দ্বিতীয় ব্যাক্তিটি টাকা সেখানে খরচ করেছে যার মূল্য সময়ের সাথে সাথে বাড়বে। তাই যখনই আপনি কোথাও থেকে টাকা ধার করবেন সেটা এমন কিছু কেনার জন্য করবেন যার মূল্য সময়ের সাথে সাথে বাড়বে। লোক যখনি একটু ভালো ইনকাম করা শুরু করে তখন এরা ব্যাংক  থেকে ক্রেডিট কার্ড নিয়ে নেয় আর এরপর তারা খরচই বাড়াতে থাকে। তাই ক্রেডিটে বাঁচা বন্ধ করুন।আপনার প্রয়োজন সত্যি বেশি হলে আপনি বেশি ইনকাম করুন। আর এটাই হল Rule number two যে,যার মূল্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে যাবে সেটিকে কেনার জন্য কখনোই টাকা ধার করবেন না।



Rule number three:

আপনি যখন Rule number one এবং Rule number two কে সঠিকভাবে ফলো করবেন তখনই Rule number three টি কাজে লাগবে।কারণ এই রুলসটি  আপনাকে কোটিপতি তৈরি করবে আর সেটা হলো টাকা দিয়ে টাকা ইনকাম কিভাবে করতে হয় সেটা শিখতে হবে ।টাকা তো সবাই রোজগার করে আর  টাকাকে সবাই সেভও করে কিন্তু টাকা দিয়ে টাকা রোজগার সবাই করতে পারে না। আর টাকা দিয়ে টাকা ইনকাম করার অর্থ হলো আপনি আপনার টাকা দিয়ে এমন কিছু অ্যাসেট তৈরি করবেন যার মূল্য বাড়তেই থাকবে। যেখান থেকে আপনি ভাল রিটার্নও পাবেন।



আর এটা ওই দোকানের উদাহরণে আপনারা দেখেছেন ।কিন্তু মনে করুন আপনার কাছে এতগুলো টাকা নেই তাহলে আপনাকে ইনভেস্টের জন্য অন্য  উপায় খুঁজে বের করতে হবে আর এর মধ্যে কিছু উপায় হল মিউচুয়াল ফান্ড,স্টক মার্কেটস,বন্ডস।এই সবকিছুর জন্য খুব বেশি টাকার প্রয়োজন নেই।এছাড়া ব্যাংকেও কিছু ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান  থাকে ,আপনি সেটা ব্যাংকে গিয়ে খোঁজ নিতে পারেন।এছাড়া আজকের দিনে কিছু মোবাইল অ্যাপের সাহায্যেও আপনি ইনভেস্ট করতে পারেন।আর একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন যখনই আপনি ইনভেস্ট করবেন তখনই একটি  লক্ষ্য ঠিক করুন যে, আমার এতটা সময় পর এতটা টাকার প্রয়োজন।এরপর সবার আগে ইনভেস্ট করে তারপরে বাকি অর্থ খরচ করুন।আর এটাই ছিল Rule number three



তো চলুন আরো একবার তিনটি রুলসকে  আপনাদের মনে করিয়ে দিই। Rule number one- আপনার যা মাসিক খরচ তার থেকে বেশি ইনকাম করুন অথবা যতটা আপনি ইনকাম করেন তার থেকে কম খরচ করুন।Rule number two-ঐ  জিনিসটি কেনার জন্য কখনও লোন নিবেন না যার মূল্য সময়ের সাথে সাথে কমে যাবে।এবং Rule number three-দ্রুত  ইনভেস্ট শুরু করুন যাতে আপনি আপনার টাকা দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন।


তো বন্ধুরা আশা করছি আজকের পোস্টটি  আপনাদের জীবনে অনেক কাজে আসবে। পোস্টটি  ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাতে তে ভুলবেন না,ধন্যবাদ ।

Post a Comment

1 Comments

Please don't enter any spam links in the comment box.