7 things will totally change your life in Bangla




Bangla Motivational story/Motivation in Bengali

7 things will totally change your life

সাতটি জিনিস আপনার জীবন সম্পূর্ন পাল্টে দিবে 


আজ আমি এমন এক টপিক নিয়ে আলোচনা করবো যেটি প্রতিটি  মানুষের জানা দরকার।যেটি  জানার পর আপনার জীবন সম্পূন পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে। আমাদের আজকের টপিক মানুষের মেন্টালিটি নিয়ে।বিশেষ করে Poor mentality বা গরিব মেন্টালিটি নিয়ে।মজার ব্যাপার হলো গরিব মেন্টালিটি শুধু গরিব মানুষদের মধ্যে পাওয়া যায় না।এটি কোন মানুষদের মধ্যে পাওয়া যায় তা সপূর্ণ পোস্ট পড়ার পর জেনে যাবেন।


এই পোস্টটি করার উদ্দেশ্য হলো যদি এই অভ্যাসগুলোর সাথে আপনার  মিল পেয়ে  থাকেন তাহলে ট্রিকগুলো অনুসরণ করে নিজের মেন্টালিটি চেঞ্জ করতে পারবেন । একজন মানুষের জীবনে সফল হবে নাকি ব্যর্থ হবে তা অনেকটাই নির্ভর করে তার  অভ্যাস এবং চিন্তাধারার উপর । তাই আপনি যদি জীবনে সফল হতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।এই পোস্টটিতে  আপনাদের কাছে যা  শেয়ার করবো তা দুটি বইয়ের মাধ্যমে।প্রথমটি হল "সেভেন হ্যাবিটস হাইলি এফেক্টিভ পিপল" (Seven Habits Highly Effective People)ওবং দ্বিতীয়টি হলো "দ্যা  সিক্রেট অব মিলিয়নিয়ার" The Secret of Millionaire।


প্রথমে যে জিনিসটা গরিব মেন্টালিটির মানুষ বেশি পছন্দ করে সেটি হলো স্পোর্টস। নিজে খেলতে নয় শুধু উপভোগ করতে এরা অনেক ঘন্টা নষ্ট করে ফেলে একটা ম্যাচ দেখতে ।আর যখন ম্যাচ শেষ হয়ে যায় তখন ম্যাচ শেষে প্রোগ্রাম দেখতে থাকে যেখানে চারজন লোক বসে ম্যাচে  যা হয়েছে এগুলো নিয়ে আলোচনা করছে। তারপরে এটাও যখন শেষ হয়ে যায় তখন প্লেয়ারদের প্রাইভেট লাইফ জানতে ইন্টারনেটে সার্চ করা শুরু করে দেয়। কিন্তু বাস্তবতা এটাই যদি আপনি কোন টিমের মালিক না হন বা যদি ঐ খেলার সাথে আপনি সরাসরি সম্পৃক্ত না থাকেন তাহলে আপনার স্পোর্টসের পেছনে এতো লেগে থাকার  দরকার নেই।


যত ধনী ব্যক্তিরা আছে তারা কখনোই টিভির সামনে বসে স্পোর্টস দেখে নিজের সময় নষ্ট করে না। খেলাধুলা করা খুবই ভালো,আপনিও খেলুন। ফিজিক্যাল ফিটনেসের জন্য খেলাধুলা করা খুবই ভালো। কিন্তু দেখে সময় নষ্ট করা আপনার জন্য খুবই খারাপ। দল নিয়ে গরিব লোকেরা ঝগড়া করতে থাকে।কেউ কেউ আবার ঐ প্লেয়ারের  জন্য নিজের বন্ধু ,নিজের প্রতিবেশীর সাথে লড়াই করেন ।  কিন্তু ঐ প্লেয়ার কোটি টাকা ইনকাম করে নিয়ে যাচ্ছে আর বিনিময়ে আপনার কি লাভ হচ্ছে কারণ এটা তার বিজনেস। বিষয়টা একটু চিন্তা করে দেখুন।



দ্বিতীয় জিনিসটা হল টেলিভশন এবং সোশ্যাল মিডিয়া।গরিব লোক টেলিভিশন বেশি দেখে আর সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশী সময় নষ্ট করে। তাদের পছন্দের টিভি সিরিয়ালও থাকে যেটার একটা এপিসোডও মিস করতে চায় না। যদি আপনারও  টিভি সিরিয়াল খুব পছন্দের হয় আর আপনিও যদি পছন্দের টিভি সিরিয়ালের একটি এপিসোডসও মিস করতে না চান তাহলে আপনার গরীব হওয়ার চান্স অনেক বেশি ।কারণ এই টিভি সিরিয়াল দেখার  ফলে আপনার জীবনে কোনো পরিবর্তন আসবে না বরং আপনার চিন্তাধারারও নেগেটিভ হবে।


এর ফলে টিভি সিরিয়ালের নেগেটিভ ক্যারেক্টর আপনি আপনার ফ্যামিলি এবং আপনার আশেপাশের মানুষদের মধ্যে দেখতে পাবেন।যদি ঐসব মানুষ এমন নাও  হয় তবু আপনি ভাববেন এতো একদম সিরিয়ালওয়ালার  মতোই। টিভি সিরিয়াল আপনার সময় নষ্টতো করছেই  সেই সাথে নেগেটিভ চিন্তাও বাড়ছে আর শত্রুতাও বাড়াচ্ছে ।ধনী  চিন্তাশীল ব্যক্তি টিভি দেখার জায়গায়  টিভিতে আসা বেশি পছন্দ করেন।আর এই চিন্তা শক্তি তাকে সফল হতে সাহায্য করে।



তৃতীয়  জিনিসটা হলো গরীব মেন্টালিটির লোক ধনী লোকদের থেকে বেশি অলস হয়।এই সব মানুষ ঐ সময় পর্যন্ত কোন কাজ শুরু করেনা যতদিনে তার পড়াশোনা শেষ না হয়। যেখানে ধনী ব্যক্তিরা কমবয়সেই  কাজ শুরু করে দেয়।Warren Buffet  যখন কাজ শুরু করেছিল তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর। আপনি যেকোন ধনী ব্যক্তির জীবনী পড়ে দেখতে পারেন ।তারা তাদের স্কুল লাইফ শেষ হওয়ার আগেই কাজ শুরু করেছিল।



যে সকল ব্যক্তি অল্প বয়সে কাজ করা শুরু করে সেই সাথে টাকা বাঁচানো এবং ইনভেস্ট করা শুরু করে সে তার যৌবনে এবং পরের বয়সে কখনই গরীব থাকে না। আর যদি আপনি  এরকমই ঘুম থেকে দেরি করতে উঠতে  থাকে, টিভি দেখতে থাকেন আর আপনার মূল্যবান সময়কে এদিক-সেদিক স্টাইল করে পার করতে থাকেন তাহলে যতক্ষণে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনাকে কিছু করতে হবে ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে যাবে। আপনার কাছে সে এনার্জি  থাকবে না যেটা আগে ছিল।



চতুর্থ জিনিসটা হলো গরীব মেন্টালিটির লোকেরা  নিজের ব্যর্থতাকে অন্যের   উপর চাপিয়ে দেয়।তারা সব সময় নিজেকে নির্দোষ বলে, নিরুপায় বলে,নিজেদের সাথে খারাপ কিছু হলে তারা অন্যকে দোষ দিতে থাকে। যেমন-আমি বিজনেস করতে পারছিনা কম্পিটিশন এর জন্য, আমি ফেল করেছি কারণ আমার টিচার ভালো না, সে পাশ করেছে কারণ টিচার তার রিলেটিভ হয় ।যেখানে ধনী ব্যক্তিরা নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করে আর দেখে কোথায় তার ভুল হয়েছে ।কারণ ভবিষ্যতে একি ভুল সে যেন আর না করে।


 আর গরিব লোক কোন কাজে ব্যর্থ হলে সেই কাজ পুনরায় করতে চায় না ।যেখানে ধনী ব্যক্তি আবার চেষ্টা করেন আর ততক্ষণ পর্যন্ত চেষ্টা করে যতক্ষণ পর্যন্ত সফল না হয়।


পঞ্চম জিনিসটা হল গরিব মেন্টালিটির মানুষ সবসময় ধনী আর  সাকসেসফুল(Successful )মানুষদের হিংসা করে। কোনো ভালো গাড়ি তার  সামনে থেকে গেলে বলবে "এই গাড়ি তো উনার দুই নম্বরি টাকা দিয়ে কিনেছে।" কারও বড় বাড়ি দেখে বলবে"এই ঘরতো উনার শ্বশুরের টাকা দিয়ে বানিয়েছে।" আরে ভাই যার  টাকা দিয়ে বানাক না কেন তাতে আপনার কি! ধনী মেন্টালিটির মানুষ সবসময় ধনী আর সাকসেসফুল মানুষদের দেখে অ্যাপ্রিশিয়েট করে।


 যদি কেউ গরিব হয় কিন্তু তার মেন্টালিটি  যদি ধনীদের মত হয়ে থাকে তাহলে সে ভালো কোন গাড়ি দেখলে  বলবে "বাহ  অনেক ভালো গাড়ি আমিও একদিন কিনব" ,একই কথা একটা বাড়ি দেখলেও বলবে।


ষষ্ঠ নাম্বারে হলো গরিব মেন্টালিটির মানুষ দেখানোর জন্য করে। এখন হয়তো আপনি বলবেন গরিব কোথায় দেখানোর জন্য করে ,দেখানোর জন্য তো বড়লোকরা করে? একদমই না! আমি আপনাদেরকে বলছি এটা হয়তো আপনারাও দেখেছেন কিছু কিছু লোকদের -যে মানুষটার সেলারি ২০ হাজার টাকা কিন্তু সে মোবাইল ফোন ইউজ করে পঞ্চাশ হাজার টাকা দামের। তো এমনটা কিভাবে করে সে?লোন নিয়ে।কেন করে?দেখানোর জন্য। কিন্তু কাকে দেখানোর জন্য?



উনার মতই আশেপাশে থাকা  কিছু গরিবদের দেখানোর জন্য। সবসময় গরিব লোক  চায় তার আশেপাশে যত গরিব থাকবে তাদের মধ্যে যেন নিজেকে ধনী দেখায়। এদের মধ্যে কিছু গরিব তার ফোন দেখে তারিফ করেন বলে "ওয়াও! ভাই, তোর ফোনটা অনেক জোস ।"তো সে নিজেকে ধনী দেখানোর জন্য  তার বাজেটের বাইরে গিয়ে দামি ফোন,দামি পোশাক আর ব্র্যান্ডের জুতো কিনে।


 আর শুধু এতোটুকুই না গরিব মানুষ কিছু দেখানোর জন্য ধার কিংবা লোন নিয়ে থাকে যেমন-এসি ,বড় টিভি বা গাড়ি । যদি তার কোনো রিলেটিভ গাড়ি কিনে তাহলে গরিব মেন্টালিটির লোক ভাবে  তার রিলেটিভের কাছে একধাপ নিচু হয়ে গেছে ।তখন সে যে কোনভাবেই লোন নিয়ে একটা গাড়ী কিনে ফেলেন আর অনেক কষ্টে স্যালারি থেকে টাকা বাঁচিয়ে তার লোন পরিশোধ করতে থাকে ।আর যখন তার অফিসের বস জানতে পারে যে সে বড় কোন লোনের ফেঁসে আছে তখন সে চিন্তা করে এর কাছ থেকে এখন যত পারি কাজ করিয়ে নেব কারণ সে চাকরি ছাড়ার রিস্ক নিতে পারবে না।আর সে ওখানে চাকরিতে ফেঁসে যায় ।



যেখানে ধনী ব্যক্তিরা এই সবকিছু তার বিজনেস অ্যাকাউন্ট থেকে কিনে। আপনার মনে হতে পারে এটা দেখানোর জন্য ।কিন্তু ধনী ব্যক্তি একটা জিনিসের উপর প্ল্যান করে খরচ করে আর যখন সে কোন লোন নেয় তখন অ্যাসেটস কেনার জন্য নিয়ে থাকে ।অ্যাসেটস হলো যেটা থেকে সে টাকা আয় করতে পারবে কারন উনি জানে যত টাকা ইনভেস্ট করবে তার চেয়ে বেশি রিটার্ন পাবেন।



সপ্তম নাম্বারে  হলো গরীব মেন্টালিটির লোকেরা সব সময় একটা জিনিস নিয়ে চিন্তায় থাকে যে লোকে কি বলবে!তাদের সোশ্যাল স্টেটাস থাকবে না!তাদের সম্মান থাকবে না!গরিব লোক ধারদেনা করে ভালো আয়োজনে বিয়ে করে কিংবা তার সব জমানো টাকায় এক বিয়েতে খরচ করে ফেলেন। কারন লোকে যেন না ভাবে উনার তো একটা মাত্র ছেলে আর এত সিম্পল ভাবে বিয়ে হয়েছে।



 গরিব লোক ভাবে ম্যাটারিয়াল জিনিসপত্রে তাদের সম্মান বাড়ে আর তাইতো তারা দামি জিনিসপত্র কিনে শুধুমাত্র তাদের সম্মান আশেপাশের মানুষদের সামনে ধরে রাখতে ।এমনটা তারা ভাবে। যেখানে ধনী ব্যক্তিরা এ ব্যাপারে চিন্তা করেনা যে লোকে কি বলবে। তারা কোন কাজকে ছোট বড় করে দেখেনা,যেখানে গরিব লোক নিজের সম্মানকে  আটকে রাখে ।


কোন কাজ ছোট আর কোন কাজ বড় এটা ভেবে। একজন ধনী মেন্টালিটির মানুষ সব সময় সৎচিন্তা করেন এবং সৎপথে টাকা উপার্জন করেন।এক কথায় তারা এটা ভাবেনা যে আমি যদি এই কাজ করি তাহলে লোকে কি ভাববে! আপনি হয়তো বুঝতে পেরেছেন আমি কোন গরিবের কথা বলছি!এরা টাকার  গরীব না বরং এদের চিন্তা গরিব। যদি আপনার আশেপাশে এমন মেন্টালিটির মানুষ থেকে  থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।


আরো পড়ুন: 








Post a Comment

0 Comments