What should we do if someone insults us-Bangla

What should we do if someone insults us-Bangla 

Personality development in Bengali

Motivational story Bangla



কেউ কোনদিন সম্মান করে না!যে মানুষটি সব জায়গায় অপমানিত হতে থাকে সেই মানুষটি জীবিত অবস্থায় মৃতের সমান।অনেকেই বলে যে, লোকে আমাদের কোনো সম্মান করে না, আমাদের অপমান করে, কি করবো আমরা?পাঁচটি কথা আপনি যদি আপনার জীবনে প্রয়োগ করেন তাহলে সারা পৃথিবী আপনাকে সম্মান করবে। যে মানুষটির ভিতরে এই পাঁচটি ব্যাপার থাকবে না  তাকে কেউ কোনদিন কোন সম্মান করবে না। 



সবার প্রথমে self-respect। যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি নিজেই নিজেকে সম্মান না করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ আপনার সম্মান কোনদিন করবে না।আজকাল বেশিরভাগ মানুষের যে চিন্তা,যে মেন্টালিটি তারা নিজেকেই পছন্দ করে না।তারা বলে "আই হেট মাইসেলফ ,আই হেট মাই লাইফ।"


একটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছি আপনাকে,আপনি কি আপনার জীবনটাকে ভালোবাসেন?আপনি কি নিজেকে ভালোবাসেন?এর উত্তর আপনি নিজেকে অবশ্যই জিজ্ঞাসা করবেন।আপনি নিজেকে ভালোবাসেন কি ভালোবাসেন না।আপনি আপনার জীবনটাকে ভালোবাসেন কি ভালবাসেন না। আপনি নিজেকে রেস্পেক্ট কিভাবে করবেন যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি জীবনে নিজের কিছু প্রিন্সিপাল সেট না করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষ আপনাকে অপমান করতে থাকবে।


 সবসময় সব জায়গায় সহ্য করে নেওয়া,টলারেট করে নেওয়া-এতে আপনি মহান হয়ে যাবেন না।কোথায় সবকিছু সহ্য করবেন,কোথায় সবকিছুর যোগ্য জবাব দেবেন এটা বোঝার মত বুদ্ধি আপনার থাকাটা দরকার ।সমস্ত জায়গায় সবকিছু সহ্য করে নেওয়া আপনাকে মহান বানায় না বরং সেটা আপনার ভেতরের পরিচয় হয়ে ওঠে।


কিন্তু তাই বলে সব জায়গায় মূর্খের মতো লড়াই করা এটা শুধু মূর্খেরই পরিচয়,রাগের পরিচয়,বুদ্ধিমানের নয় ।বুদ্ধিমান মানুষ সেই যে মানুষটি বুদ্ধির সাথে যুক্তি দিয়ে এমন উত্তর দেবে যে যার কথায় তার নিজের জন্য স্বভিমান থাকবে,যে কথায় কোন রাগ থাকবে না।আপনি যখন কারোর অপমানের উত্তরই দেন তখন সে কথাগুলি আপনার রাগ থেকে বের হতে থাকে। তখন আপনার বলা কথাগুলিতে আপনার নিজের জন্য কোন স্বভিমানই থাকে না।



কেননা আপনি তাকে ভালই বাসেন না,আপনার মন আগে থেকেই রাগে ভরে থাকে।আর সে কারণেই সবার প্রথমে প্রয়োজন self-respect।যেখানে আপনার সম্মানের ব্যাপার টা চলে আসে,যেখানে আপনাকে হাতজোড় করতে হয়,যেখানে আপনাকে কারো সামনে ভিক্ষা চাওয়ার মতো পরিস্থিতি চলে আসে,যেখানে আপনি কারো পিছনে পাগলের মত মরতে থাকেন-তখন বুঝে যাবেন আপনার নিজের জন্য একদমই self-respect নেই।


 যখন কোন মানুষ আপনার সাথে খারাপ আচরণ করে, যখন কোন মানুষ আপনার ভালোবাসার কোন কদর করে না,যখন কোন মানুষ আপনার সময়ের কদর করে না,আপনাকে যদি কোন সম্মান করে না  তাহলে আপনি সেখান থেকে সরে পড়ুন।সেই মানুষটি থেকে আপনি দূরে থাকুন যে আপনার সাথে সব সময় এমনটা করে যাচ্ছে।কেননা সেই মানুষটি আপনাকে কখনো সম্মান করবে না।একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন,যে মানুষটি নিজের জন্য কোনো স্ট্যান্ট নিতে পারে না দুনিয়ার কাছে তার কোন দামই থাকে না।


যখন আপনার নিজের সম্মান,স্বভিমান বাঁচানোর প্রয়োজন হবে তখন আপনি কারও দিকে তাকাবেন না। তার সাথে আপনার কি সম্পর্ক সেটাও দেখার প্রয়োজন নেই আপনার ।লোকে বলে সে যদি নিজের ঘরের কেউ হয় তাহলে?পুরো পরিষ্কার করে এটাকে মাথায় ঢুকিয়ে নিন যখন কোন সম্পর্কের জন্য  আপনার সম্মান নিয়ে টানাটানি হতে থাকে তখন আপনার সে সম্পর্কের চেয়ে আপনার সম্মানটাকে বড় করে দেখবেন।


 তাহলে যেকোনো পরিস্থিতিতেই হোক না কেন যদি মনে হয় আপনার সন্মান চলে যাচ্ছে, আপনি রাজা থেকে ভিখারী হয়ে যাচ্ছেন তখন আপনি নিজের সম্মানটাকে বাঁচান,সেই সম্পর্ককে নয়।সেই সম্পর্ক থেকে যদি বেরিয়ে আসার প্রয়োজন হয় তাহলে বেরিয়ে আসুন।কিন্তু আগে আপনার সম্মান বাঁচান। আপনি যদি আপনার সম্মানই বাঁচাতে না পারেন তাহলে আপনি কোন সম্পর্কই বাঁচাতে পারবেন না।আর সেই সম্পর্কে আপনি সব সময় শুধু দুঃখই পাবেন যেখানে আপনার কোন সম্মান থাকবে না।শুধু সেই সম্পর্কেই আপনি থাকবেন যেখানে আপনার নিজের সম্মান বজায় থাকবে।



নাম্বার দুই.প্রেজেন্টেশন(Presentation)।আপনার প্রেজেন্টেশন কেমন?আপনি নিজেকে দুনিয়ার সামনে কিভাবে উপস্থাপন করবেন?আপনার পোশাক-আশাক কেমন?আপনার চালচলন কেমন?এসবের মাধ্যমে আপনি সম্মান পাবেন।রাস্তায় যদি কোন ভিখারি বসে থাকে ছেঁড়া পুরনো জামা কাপড় পড়ে আপনি তাকে কোন সম্মান দেবেন না।কেউ যদি কোনো সাধারণ কাপড় পড়ে থাকে তাহলে তাকে আপনি কেমনটা সম্মান দিয়ে থাকেন আর যদি কেউ অফিসারের ড্রেসে থাকে  তাহলে আপনি তাকে তার প্রাপ্য সম্মান দিয়ে থাকেন।


 আবার যদি কেউ বিজনেসম্যানের  ড্রেসে থাকে তাহলে তাকে আপনি সেই সম্মান টা দেবেন।যদি কেউ রাজার ড্রেসে বা রানীর ড্রেসে থাকে তাহলে আপনি তাদের রাজা-রানীর সম্মান দিয়ে দিবেন।কেননা তাদের প্রেজেন্টেশনই রাজা রানীর মত।তাহলে আপনি নিজেকে দুনিয়ার সামনে কিভাবে প্রেজেন্টেশন করবেন,কিভাবে নিজেকে উপস্থাপন করবেন সেটা সম্পূর্ণটাই আপনার উপর নির্ভর করবে।আপনি নিজেকে দুনিয়ার সামনে রাজার মতো দেখাতে চাইবেন নাকি ভিখারির মত!


এরপরও আপনি যদি বলেন, লোকে আপনাকে সম্মান করছে না তাহলে এর মানেটা একদমই পরিষ্কার যে আপনি নিজেকে দুনিয়ার সামনে উপস্থাপন করার নিয়মই জানেন না।মানুষ আপনার সম্বন্ধে কে কি বলছে সেগুলো ছাড়ুন,আপনি শুধুমাত্র নিজেকে ইম্প্রুভ করুন।কোথায় বলতে হবে আর কোথায় চুপ থাকতে হবে,কিভাবে কথা বলতে হবে,কিভাবে নিজেকে দুনিয়ার সামনে রাখতে হবে এই সমস্ত কিছুই আপনার হাতে। আর যেভাবে আপনি নিজেকে দুনিয়ার সামনে রাখবেন দুনিয়া ঠিক তেমন ভাবেই চলবে আপনার সাথে।আর এইটা একদম সত্যি কথা।


নাম্বার তিন. আপনি কখনো খালি বসে থাকবেন না।জীবনে শুধু মরার জন্যই বেঁচে থাকবেন না।যে মানুষের জীবনে কোন স্বপ্ন নেই,কোন মিশন নেই,কোন গোল থাকে না অন্য কেউ তো দূরের কথা তাকে আপনি নিজেও কোন সম্মান দেবেন না। আপনি নিজেও নিজেকে সম্মান ততক্ষণ পর্যন্ত করবেন না যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার জীবনে কোন মিশন না থাকবে,কোন গোল না থাকবে।মানুষ যদি ঘরে অহেতুক বসে থাকে তাহলে কে সম্মান করবে তাকে?


কোন চাকর যদি কাজ না করে দোকানে শুধু বসে থাকে তাহলে কে সম্মান করবে তাকে? সম্মান তারই হয় যে কিছু করছে।হ্যাঁ এটা ঠিক যে লোকে তার কাজ নিয়ে নানান কথা বলবে কিন্তু তবুও সে সম্মান পাবে।আপনি জীবনে কোনো না কোনো মিশন  ঠিক করুন,কোন গোল ঠিক করুন তাতে আপনি যদি হেরেও যান তাহলে কোন ব্যাপার নয় তাতে।


চেষ্টা করতে থাকা মানুষের হার হয়।কিন্তু তবুও আপনি আপনার মিশন কখনোই ছাড়বেন না। আপনার গোল কখনো ছাড়বেন না। যে মানুষগুলি ক্যারিয়ার অরিয়েন্টেড হয় সারা দুনিয়া তাদেরকে সম্মান করে ।আপনার পরিবার ও সম্মান করবে,আপনার বন্ধুও সম্মান করবে,আপনার আশপাশের দুনিয়া আপনাকে সম্মান করবে। তাহলে আপনি নিজের জীবনে কিছু না কিছু বিশেষ করুন,বড় কিছু করুন,আপনার স্বপ্নকে সত্যি করুন।



নাম্বার চার.ইম্প্রোভ ইউর নলেজ। যত বেশি জ্ঞান ততো বেশি সম্মান।যে মানুষের ভিতরে যত বেশি জ্ঞান থাকে জ্ঞান বলতে শুধু বইয়ে থাকে তা নয় জ্ঞান আপনার অনুভবের, জ্ঞান হলো আপনি জীবনটাকে কিভাবে দেখবেন সেটা।জ্ঞান  হলো আপনি জীবন থেকে কি শিখলেন সেটা।


নাম্বার পাঁচ.কমিউনিকেশন স্কিল। কথা বলার ভঙ্গিমা।আপনার কথা বলার ভঙ্গিমা থেকে নিশ্চিত হবে যে আপনি মানুষের মনের রাজ করবেন নাকি শুধু মাটিতেই পড়ে থাকবেন।কেননা কথা এমন একটা জিনিস এর দ্বারা  আপনি সারা পৃথিবীটাও জিতে নিতে পারেন।আবার কথার মাধ্যমে আপনি নিজের কাছে হেরেও যেতে পারেন বা সবার কাছে হেরে যেতে পারেন।



 সে যেই হোক না কেন কেউ যদি এই কথাগুলোকে লাইফটাইম ফলো করে তাহলে দুনিয়াতে কারোরই কোনো শক্তি নেই যে তাকে অপমান করবে। সে যেখানেই যাবে সারা দুনিয়া তার সম্মান করবে। নাম্বার এক.সেল্ফ রেসপেক্ট (self-respect) নিজের সম্মান করা ।নাম্বার দুই. আপনার প্রেসেন্টেশন। আপনি নিজেকে দুনিয়ার সামনে কিভাবে রাখবেন।নাম্বার তিন.আপনি আপনার জীবনে খালি বসে না থেকে আপনার স্বপ্ন গুলোকে পূরণ করুন।নাম্বার চার.ইম্প্রভে ইউর নলেজ।আপনার জ্ঞানকে সব সময় বাড়াতে থাকুন। নাম্বার পাঁচ.কমিউনিকেশন স্কিল।আপনার কথা বলার ভঙ্গিমা আরও উন্নত করে তুলুন।প্রতিদিন আপনি এই কথাগুলি মেনে চলুন।একদিন দেখবেন সমস্ত দুনিয়া আপনি জিতে ফেলবেন।আশেপাশের সবার মন জয় করে নেবেন।


আরো পড়ুন: 



Post a Comment

0 Comments